নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সাক্ষ্য হিসেবে আসবে। এটি অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও আয়নাঘর পরিদর্শন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ ও গুরুতর আহতসহ অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি দিয়েছে ওএইচসিএইচআরের তথ্যানুসন্ধান দল। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা সংস্থা, তাদের এই রিপোর্টটা সম্পূর্ণ ইমপার্শিয়াল (নিরপেক্ষ)। কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হয়নি। আমাদের সাথেও কথা বলেনি। তারা অপরাধীদের সাথে কথা বলেছেন, ভিক্টিমদের সাথে কথা বলেছেন। যেখানে কথা বলা দরকার সেই জায়গায় কথা বলেছেন। সুতরাং এটা অকাট্য দলিল হিসেবে এই আদালতে ব্যবহার করা যাবে এবং সেটা আমরা ব্যবহার করবো বলে আপনাদের জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্রের ব্যবহার এবং আহত-নিহতের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে, একটা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একটা জনগোষ্ঠীকে ওয়াইডস্প্রেড এবং সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য।
এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে একটা সুস্পষ্ট এবং অসম্ভব জোরালো একটা প্রমাণ। এই প্রমাণটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে একটা এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আসবে।