https://www.a1news24.com
১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:০১

জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবেলায় সুন্দরবনের উপকূলে সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে মসজিদ ও রাস্তা

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:অবারিত মাঠ গগন ললাট চুমে তব পদধূলি ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রাম গুলি। কবির কল্পনার এরকমই একটা গ্রাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সদস্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসাদুল মোড়ল বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবেলায় মধ্যবাহিরদিয়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের প্রাঙ্গন ও তৎসংলগ্ন রাস্তার পাশে বিগত ২-৩ বছর পূর্ব থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি মূলত জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষ রোপনের গুরুত্বকে উপলব্ধি করেই এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। বর্তমানে উক্ত গাছ গুলি যথেষ্ট বড় হয়েছে এবং এক ধরনের মনমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসাদুল মোড়ল তার পরিচিত বন্ধুবান্ধব, স্বজন, পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী নাগরিকদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে প্রতিবছরই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করে থাকেন। সাধারণত তার এই কর্মসূচির আওতায় থাকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র মধ্যবাহিরদিয়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের প্রাঙ্গন এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশত ফলজ গাছের চারা রোপন করেন। এখন সেই গাছগুলো যথেষ্ট বড় হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছে ফল দেওয়া শুরু করেছে, যার মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে ব্যানানা ম্যাংগো। এই আমটি আমাদের দেশের একটা নতুন ভ্যারাইটির বিদেশি আম। দেখতে খুবই সুন্দর যা পল্লী এলাকাতে মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

এছাড়াও এখানে আছে কাঁঠাল, আমড়া, তেতুল, আমলকি, করমচা, কদবেল,পেয়ারা, বাক্সবাদামসহ হরেক রকমের গাছ। স্থানীয়রা জানান, মসজিদ ও রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ গাছগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আসাদুল মোড়ল উপজেলার মধ্যবাহিরদিয়া গ্রামের মৃত আ. মজিদ মোড়লের সন্তান । তিনি খুলনা শহরে বসবাস করলেও গ্রামের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সেতুবন্ধন। তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয়রা। তিনি এই বৃক্ষরোপন কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে যাতে আরো অধিক জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি করা যায় সেই চেষ্টা করবেন। তার মূল লক্ষ্য হলো বৃহত্তর পরিসরে সবুজের বেষ্টনী তৈরি করা।

আরো..