তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: দেশে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মাঝে ভোল্টেজের তারতম্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার বাসার টিভি, ফ্রিজ কিংবা এসি। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যে চাপ পড়ে, তার হাত থেকে ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো রক্ষা করা যায়।
ইউপিএস: পুরো কথা আনইন্টারাপটেবল পাওয়ার সাপ্লাইজ। সংক্ষেপে এই ইউপিএস কারেন্ট চলে গেলেও পাওয়ার সাপ্লাই করে কিছুক্ষণের জন্য, ফলে আচমকা চাপ পড়ে ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো বন্ধ হয়ে যায় না।
সার্জ প্রোটেক্টর: এই যন্ত্র অতিরিক্ত ভোল্টেজ অ্যাবজর্ব করে, ফলে কারেন্ট চলে যাওয়ার সময়ে বা ভোল্টেজ হাই-লো হওয়ার সময়ে ইলেকট্রনিক জিনিসে চাপ পড়ে না।
ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার: যে সব এলাকায় ঘন ঘন ভোল্টেজ হাই বা লো হয়, সেখানে এটা খুব কাজের- সব সময়েই ইলেকট্রনিক জিনিসগুলোর ভোল্টেজ একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে রাখে, ফলে চাপ পড়ে না।
পাওয়ার স্ট্রিপ: এগুলো আলাদা করে একেকটা স্যুইচে লাগানো যায়, যাতে দরকার হলেই তার থেকে যে ডিভাইসে পাওয়ার সাপ্লাই যাচ্ছে, তা বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। পাওয়ার সার্জের সময় এগুলো বিশেষ করে কাজে আসে।
হোল হাউজ সার্জ প্রোটেক্টর: নির্দিষ্ট ডিভাইসের বদলে বাড়ির মেন ইলেকট্রিক প্যানেলের সঙ্গে এটা কানেক্টেড থাকবে, ফলে কারেন্ট চলে গেলে আলাদা করে কোনও ডিভাইস নিয়ে ভাবার দরকার হবে না।
ডিভাইস আনপ্লাগ করা: এটা একেবারে প্রাথমিক কাজ- কারেন্ট চলে গেলেই ইলেকট্রনিক জিনিসগুলোর প্লাগ স্যুইচ বোর্ড থেকে খুলে রাখতে হবে, যাতে কারেন্ট এলে আচমকা চাপ না পড়ে।
পোর্টেবল ব্যাটারি চার্জ দিয়ে রাখা: ল্যাপটপ এবং এরকম কিছু ইলেকট্রনিক জিনিসের ক্ষেত্রে পোর্টেবল ব্যাটারি চার্জ দিয়ে রাখতে হবে, যাতে দরকারে সঙ্গে সঙ্গে ডিভাইস ব্যবহার করা যায়। এতে ব্যাটারি লেভেল ঠিক থাকবে, ডিভাইসে চাপ পড়বে না।
ফার্মওয়্যার আপডেট: ম্যানুফ্যাকচারাররা সময়ে সময়ে এই সব ফার্মওয়্যার আপডেট নিয়ে আসে, যাতে তা ডিভাইসের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ক্ষমতা ঠিক রাখতে পারে। অতএব, এগুলো আপডেট করে নিতে হবে।
এনার্জি এফিসিয়েন্ট ডিভাইস: আধুনিক ইলেকট্রনিক জিনিসগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই বিল্ট ইন পাওয়ার ফ্লাকচুয়েশন প্রোটেকশন থাকে। একটু টাকা খরচ হলেও এই ধরনের ডিভাইস কিনলে আর দুশ্চিন্তার কারণ থাকবে না।