https://www.a1news24.com
১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:০৩

গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী সিউলে ইউনের ব্যক্তিগত বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

গ্রেপ্তারের আগে এক বিবৃতিতে ইউন বলেছেন, বুধবার ভোরবেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে ৩ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা তার বাসভবনে জড়ো হওয়ার পর সহিংসতা এড়াতে তিনি নিজেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমর্পণ করছেন।

তিনি বলেন, যখন আমি তাদেরকে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিরাপত্তা এলাকায় প্রবেশ করতে দেখেছি, তখন আমি সিআইও-এর তদন্তে প্রতিক্রিয়া জানাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এটি একটি বেআইনি তদন্ত হওয়া সত্ত্বেও অস্বস্তিকর রক্তপাত রোধ করার জন্য আমি সমর্পণ করছি।

ইউনের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, ইউনকে আটক করার প্রচেষ্টা অবৈধ এবং তাকে প্রকাশ্যে অপমান করার জন্য নকশা করা হয়েছে।

দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, রাজধানী সিউলের মধ্যাঞ্চলে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মই বেয়ে ইউনের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের গতকালের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। গাড়ি দিয়ে বাড়ির প্রবেশপথে প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করা হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউনকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা রুখে দিতে তীব্র শীতের মধ্যে তার বাড়ির সামনে হাজারো সমর্থক জড়ো হন। মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবাদ জারি রাখেন। একই সঙ্গে সরকারবিরোধীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তবে তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সবাইকে হতবাক করে দিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জেরে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শুরু হয় ফৌজদারি তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের তলবে হাজির হতে ইউন অস্বীকৃতি জানান। এর জেরে গত ৩১ ডিসেম্বর ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত।

ইউনের বিরুদ্ধে জারি করা ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ গত ৬ জানুয়ারি শেষ হয়। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ আদালত বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

আরো..