অনলাইন ডেস্ক: গ্রীষ্মের এই সময়ে গরমের তীব্রতা কিছুটা বেশি থাকে। ফলে অল্পতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। এ কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই এই সময়ে সুস্থ থাকতে দিনের শুরুতেই সকালের নাশতা স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি।
সকালের নাশতাকে বলা হয় শরীরের জন্য আদর্শ ও গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এই খাবারের ওপর সারাদিন শরীর চাঙা থাকে এবং শারীরিক সুস্থতা নির্ভর করে। সম্প্রতি সুস্থ থাকতে সকালের নাশতা কেমন হওয়া উচিত, এ সম্পর্কে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।
তিনি জানান, সকালের নাশতায় আঁশযুক্ত বা ফাইবারজাতীয় খাবার সুস্থতার জন্য আবশ্যক। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার গরমে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে ওটস, দুধ, ভুষিসমেত আটার রুটি। এ জন্য গরমে এসব খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে এই সময়ে নরম ভাত, পান্তা ভাত, চিড়া, সাগুদানা, সুজি, পাতলা সাদা আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার কার্বোহাইড্রেট।
প্রোটিনের মধ্যে দুধের থেকে ছানা বা দই ভালো। সিদ্ধ ডিমও রাখতে পারেন নাশতার খাদ্যতালিকায়। আবার রুটি দিয়ে ডাল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ডাল এড়িয়ে চলা উচিত। গরমে অনেক সময় ডাল হজমে সমস্যার কারণ হয়। বিশেষ করে বুট বা ছোলার ডাল।
পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী জানান, সবজি খুবই উপকারী খাবার। যাদের সবজিতে সমস্যা হয় তারা এড়িয়ে চলতে পারেন। তবে গরমের সময় সকালে পেঁপে, চালকুমড়া, ঝিংগা, চিচিঙ্গা এবং অন্যান্য নরম ও সহজ পাচ্য সবজি খেতে পারেন। আর চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এর মধ্যে ডিম অমলেট, পরোটা, লুচি রয়েছে।
গরমে নাশতায় ফ্রুট ফ্রেশ জুস বা স্মুদিও খেতে পারেন। চাইলে মাঠা বা ঘোলও তৈরি করতে পারেন। পাকা নরম ফল যেমন: পেঁপে, বাঙ্গি, আম, কলা ইত্যাদি রাখতে পারেন নাশতায়। পাশাপাশি গোটা ফল বা জুস তৈরি করে খেতে পারেন। তবে চা বা কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। আর নাশতার পর পানীয় হিসেবে বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি বা ঘরে তৈরি ফলের জুস উত্তম।