কোটা পদ্ধতি বাতিল চান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানাও

বিনোদন ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে আন্দোলন। সোমবার (৮ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, মৎস্য ভবন মোড়, নীলক্ষেত মোড়, সায়েন্সল্যাব মোড়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

এদিন শিক্ষার্থীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানান ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রোনা। এ অভিনেতা এদিন দুপুরে ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাসে নিজের মতামত তুলে ধরেন।

চিত্রনায়ক সোহেল রানা লিখেছেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে, এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল।’

তিনি লিখেছেন, ‘নিজ ম্যারিটির গুণে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি। সম্মান যখন নেই তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদেরকেও সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র। সম্মানী দেয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কী করেছেন মুখে মুখে। তাদের জন্য মায়া কান্না করেছেন, ড্রেস থেকে শুরু করে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক, এটা দেশের সবার দাবি।’

এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি স্ট্যাটাসে এ অভিনেতা লেখেন, ‘চাষাবাদ করলেও একটি সিআইপি কার্ড পাওয়া যায়। দেশের জন্য যুদ্ধ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটি কার্ড দেয়া হয়, কিন্তু তা কোনো জায়গায় ব্যবহার করার জন্য কাজে আসে না; ভিআইপি বা সিআইপি তো নয়ই। আমরাই নাকি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। আহারে জীবন।’

এছাড়া এদিন রাত পৌনে আটটার দিকে অন্য একটি স্ট্যাটাসে কোটাপদ্ধতি বাতিল চেয়ে সোহেল রানা লেখেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে, সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লাখ শহিদদের আমরা কী দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপর চিৎকার করুন। আমাদের কথা একটাই, দেশের জন্য দশের জন্য কোটা সিস্টেম বাতিল, সম্পূর্ণ বাতিল।’