নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাওরান বাজারে হোটেল লাভিঞ্চি থেকে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের মামলায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর আসামি পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পেরুর নাগরিককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন— মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিম।সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার আগে গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামি তানিয়া জামিনে থেকে হাজিরা দেন। তবে অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জুন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাওরান বাজারে বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেল লাভিঞ্চির সপ্তম তলায় অভিযান চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। ওই হোটেলের ৭০৭ নম্বর রুমটি তল্লাশি করেন। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোর রাফেলের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।