সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চারদিকে সোনালী ধানের সমারোহ। বসন্ত বাতাসে ঢেউয়ের মতো দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। দিগন্ত জোড়া সোনালী ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে করে তুলেছে আরও বিকশিত। কৃষকরা সোনালী ধান কেটে ভারে করে নিয়ে যাচ্ছে নিজ গৃহে।
সরেজমিনে রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের বুক আনন্দে ভরে উঠেছে। ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে কিছুটা হতাশা তাদের চোখে মুখে। কৃষকের স্বপ্ন এখন সোনালী শীষে দুলছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে অধিকাংশ কৃষকের ফসল গোলায় উঠবে। জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের দিক থেকে কাউনিয়া শীর্ষে। উপজেলায় এবার আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। তবে আগাম ধানের ভালো দাম পেলেও বর্তমান বাজারদরে খুশি নন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষা হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে, আর উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। বর্তমানে উপজেলার মাঠ গুলোতে বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পারকরছেন কৃষকরা। আমন ফসল উৎপাদনে কৃষকদের যেরকম ব্যয় হয়েছে তাতে ধানের এ বাজার থাকলে লছ গুনতে হবে কৃষকদের। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে ধান রোপন করতে হয়েছে, ফলে ব্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে। হলদীবাড়ি গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৩দোন (৭৫ শতক) জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। ইতোমধ্যেই ধানকাটা শুরু করেছি, ফলনও ভালোই হচ্ছে। আশা করি বাজারে দামও ভালো পাবো। নিজপাড়া গ্রামের প্রহলাদ চন্দ্র বলেন, ধান অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে ধানের যদি ভাল দাম না পাই, ফসল উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তাতে লছ গুনতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানিয়া আক্তার বলেন বলেন, উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে, আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে মাঠের সকল ফসল কৃষকের গোলায় উঠবে। চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, আশাকরছি কৃষক দামও পাবে ভাল।