কপিলমুনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার ৩
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কপিলমুনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সদস্য পদ থেকে এস এম আব্দুর রহমান, জি এম মোস্তাক আহম্মেদ ও মুন্সী রেজাউল করিম মহব্বতকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে সংগঠনের নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ জরুরী সাধারণ সভায় এমন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া ক্লাবের ৩ জন পুরনো সদস্যকে ফিরিয়ে আনাসহ মোট ১৫ জন সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম বজলুর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক স ম সালাহ উদ্দীন ইউসুফ সালাম, এইচ এম এ হাশেম, এস এম লোকমান হেকিম, শেখ দীন মাহমুদ। আরও বক্তব্য রাখেন শেখ সেকেন্দার আলী, জি এম তহিদুজ্জামান মুকুল, প্রবীর বিশ্বাস, মোঃ অলিউল্লাহ গাজী, মোঃ মনিরুল ইসলাম, তপন পাল, স ম নজরুল ইসলাম, শেখ নাদীর শাহ্, আঃ সবুর আল-আমিন, ইফতেখার-আল মামুন, ইকবাল হোসেন, কামরুল ইসলাম। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ক্লাবের সভাপতিসহ অন্তত ৬ জন সদস্য পদত্যাগ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করলে ৯ সেপ্টেম্বর এক সাধারণ সভায় এইচ এম শফিউল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আমিনুল ইসলাম বজলুকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এর প্রায় এক মাস পর ক্লাবের একাংশ শনিবার স্থানীয় মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক সভা দেখিয়ে এস এম আব্দুর রহমানকে আহ্বায়ক ও জি এম মোস্তাক আহম্মেদকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কথিত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের খবর একাধিক পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। এর প্রেক্ষিতে রবিবার কপিলমুনি প্রেসক্লাবের মুল ধারার সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত আহ্বায়ক কমিটি এক বিশেষ জরুরী সাধারণ সভা আহ্বান করেন। সভায় সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে ডামি কমিটি ঘোষণার বিষয়টি উত্থাপিত হলে সভায় প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এসময় সর্বসম্মতি ক্রমে প্রেসক্লাবের ৩ জনকে সদস্য পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ সেপ্টেম্বর কমিটি বিলুপ্ত হলে নবগঠিত কমিটিতে মুন্সী রেজাউল করিম মহব্বত সদস্য ও আব্দুর রহমান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন। পরে তাদের স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় ক্লাবটিকে খন্ডিত করতে কথিত আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন।