স্পোর্টস ডেস্ক: ডিয়ান্ড্রা ডটিন তার বিগ হিটিংয়ের সামর্থ্য দেখিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন বটে। কিন্ত সেই ঝলক কেবল এক ওভারের জন্যই ছিল।
এর আগে ও পরে মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। দারুণ বোলিংয়ে তাদের ১২০ রানে আটকে দেয় নিউজিল্যান্ড। তাই ১২৮ রানের পুঁজি নিয়েই ১৪ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে তারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৮ রানের জয় পেয়েছে সোফি ডিভাইনের দল। অথচ বিশ্বকাপে তাদের নিয়ে বাজি ধরার লোক কমই ছিল। কেননা আরব আমিরাতে অয়া রাখার আগে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল তারা। জয় পায়নি টানা ১০ ম্যাচে। সেই নিউজিল্যান্ডই এখন নাম লিখিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের জুটি গড়েন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার সুজি বেটস ও জর্জিয়া প্লিমার। দুজন থিতু হলেও ওভারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেভাবে রান তুলতে পারেননি। এই জুটি ভেঙে পড়ার পর কোনো মতে ১০০ পার করে নিউজিল্যান্ড। কারণ মিডল অর্ডারে ধস নামান ডটিন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বেটস ২৮ বলে ২৬ ও প্লিমার ৩১ বলে ৩ চার ও এক ছয়ে করেন ৩৩ রান। শেষ দিকে ১৪ বলে ২ চারে অপরাজিত ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ইসাবেল গেজ। তাতে ৯ উইকেটে ১২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।
তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে লুকিয়ে দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। শুরু থেকেই চাপে রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। যার ফলে রানরেট কখনো ছয়ের ওপরে উঠেনি।
শুরুতে ধ্বংসযজ্ঞ চালান ইডেন কারসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথন তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন নিউজিল্যান্ডের স্বপ্নকে। পরে আর উইকেট না পেলেও ৪ ওভার ২৯ রানের সেই বোলিং ফিগারটি তাকে এনে দেয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।
১৬তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে অবশ্য চমক দেখান ডটিন। কিন্তু পরের ওভারেই সেই বিপদমুক্ত করেন অ্যামেলিয়া কের। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ফ্রান জোনাসের হাতে ক্যাচ দেন ডটিন। তাই ২২ বলে ৩৩ রান করেই থামতে হয় তাকে। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে নিজের স্পেল শেষ করেন কের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হাতে রেখে পুরো ২০ ওভার খেললেও লক্ষ্যে আর পৌঁছাতে পারেনি।
নিউজিল্যান্ড শেষবার ফাইনাল খেলেছিল ২০১০ বিশ্বকাপে। এর আগের আসরেও ফাইনালে ওঠে তারা। কিন্তু কোনোবারই শিরোপা জিততে পারেনি। সেই অভিজ্ঞতা নেই দক্ষিণ আফ্রিকারও। তাই আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) ফাইনালে এই দুই দলের মধ্যকার লড়াই থেকেই নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে ক্রিকেট।