প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায় সব বাসা এবং অফিসে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক আছে। ডিজিটাল যুগে সবসময় ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই এ ব্যবস্থা। তবে বাদ সাধে ইন্টারেট সংযোগ ব্যাঘাত হলে। ওনেক সময় এর জন্য কাজে সমস্যা হয়। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে যে প্যাকেজ নেয়া হয় তার ওপর যেমন ইন্টারনেটের গতি নির্ভর করে, একইভাবে নির্ভর করে ঘরে বা অফিসে থাকা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে। এজন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। পিসিম্যাগ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিছু কৌশল যেগুলো অনুসরণ করলে ইন্টারনেট গতি বাড়বে।
রাউটারের উপযুক্ত স্থান: আবদ্ধ বা ওয়াই-ফাই সিগন্যাল বাধা পেতে পারে এমন স্থানে না রেখে যতটা সম্ভব খোলামেলা স্থানে রাখতে হবে। সম্ভব হলে সমতলে, নয়তো দেয়ালে কিছুটা ওপরে টাঙানো যেতে পারে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, যেসব ডিভাইসে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় সেগুলোর কাছাকাছি যেন রাউটার থাকে।
চ্যানেল পরিবর্তন: ওয়াই-ফাই সিগন্যালে ১, ৬ ও ১১ চ্যানেল থাকে। পাশাপাশি একাধিক রাউটারে যদি একই চ্যানেল ব্যবহার করা হয় তাহলে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অধিকাংশ রাউটারে ডুয়াল ব্যান্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন ২ দশমিক ৪ ও ৫ গিগাহার্টজ। রাউটারের সেটিংস থেকে জানা যাবে ডুয়াল প্রযুক্তি আছে কিনা। ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের রাউটার বড় অংশজুড়ে ইন্টারনেট দিতে পারলেও গতি কম থাকে। আর ৫ গিগাহার্টজ এর ভিন্ন। তাই প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করা যেতে পারে।
ওয়াই-ফাই ভার্সন: ওয়াই-ফাই ৬, ৬ই ও ৭ ভার্সন সম্পর্কে জানাশোনা থাকলে ইন্টারনেট গতি বেশি পাওয়া যেতে পারে। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ততই বিভিন্ন ভার্সনের ডিভাইস আসছে। সে হিসেবে ইন্টারনেট গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ছে। তাই রাউটারের ভার্সন সম্পর্কে জানা জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই ভার্সন যত বেশি হবে তত ভালো সেবা পাওয়া যাবে। তবে সাধারণ ব্যবহারে ওয়াই-ফাই ৬ যথেষ্ট। তবে অনেক ডিভাইসে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পেতে ভার্সন ৬ই ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে ক্লাউড কম্পিউটিং, অগমেন্টেড রিয়েলিটিসহ উচ্চ রেজল্যুশনের স্ট্রিমিংয়ের জন্য ভার্সন ৭ উপযুক্ত।
রাউটার পরিবর্তন: বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রাউটার পাওয়া যায়। রাউটার কতগুলো ডিভাইসকে ও কত এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারছে এটিই মূল বিষয়। এক থেকে একাধিক অ্যান্টেনার রাউটার বাজারে পাওয়া যায়। একটি রাউটার অনেকদিন ব্যবহার করলে ইন্টারনেট গতি কম পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করা যেতে পারে রাউটার।
অব্যবহৃত ডিভাইস: এক রাউটারে অনেকগুলো ডিভাইস যুক্ত থাকতে পারে। একটা সময় পর সেগুলোর অনেকটাই ব্যবহৃত হয় না। এক্ষেত্রে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করাই শ্রেয়। এতে নেটওয়ার্কে চাপ কমবে, গতি বেশি পাওয়া যাবে।