https://www.a1news24.com
৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:২০

এবার বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ প্রকাশকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চলমান সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিতে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সংঠনের ভেতরে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ প্রকাশকেরা।

আন্দোলনরত প্রকাশকেরা বলছেন দীর্ঘদিন ধরেই সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ প্রকাশকেরা মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট একচেটিয়া ভাবে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন নিজেদের মধ্যে।

অন্যদিকে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানািজেশন রুলস অনুযায়ী দুই বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার নিয়ম থাকলের গত আট বছর ধরে কোনো নির্বাচনের আয়োজন করেনি সংগঠনটি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটন একই সাথে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত ৪৩ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশকেরা অভিযোগ করছেন তার এই রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমিতিতেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও নিজে আত্মগোপনে থেকে নিজ্স্ব আওয়ামী পন্থী সিন্ডিকেট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার পায়তারা করছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত প্রকাশকেরা।

বর্তমানে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দাবি করছেন জুপিটার পাবলিকেশন এর স্বত্বাধিকারী ও পুস্তক প্রকাশক সমিতির পরিচালক কায়সার ই আলম প্রধান। বাংলাবাজারের সাধারণ প্রকাশকেরা বলছেন, তিনি ও আরিফ হেসেন ছোটন ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

এদিকে আন্দোলনরত সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমিতির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক দুই বারের নির্বাচিত সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন৷ বর্তমানে তিনি সংগঠনের পরিচালক ও রাজধানী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তিনি বলেন, “আজ যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা দেশ উত্তাল সেখানে আমাদের প্রাণের সংগঠনে আট বছর ধরে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ও নিজস্ব বলয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সাধারণ প্রকাশকদের সঙ্গে এটাই তো সবচেয়ে বড় বৈষম্য। সবচেয়ে বড় প্রহসন। আমরা এর অবসান চাই। তাই আন্দোলনরত প্রকাশকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।”

এ বিষয়ে স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা অন্যন্যা এর স্বত্বাধিকারী সিনিয়র প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, “আমরা সংস্কার চাই। একচেটিয়া সিন্ডিকেটের বিপুপ্তি চাই্। আমরা চাই আইন অনুযায়ী একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। সারা বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তারাই আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন৷ সংগঠনের স্বচ্ছতার দাবিতে যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করছি।”

চলমান আন্দোলন ও সংগঠনের অস্থিরতা সম্পর্কে আরেক পরিচালক ও পারফেক্ট পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী কাজী জহিরুল িসলাম বুলবুল বলেন, “আমরা আমাদের সংগঠনের সংস্কার চাই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাধারণ প্রকাশকেরা যে আন্দোলন করছেন, তাকে আমি ন্যায্য মনে করি৷ তারদেকে সমর্থন জানাই।”

বিরাজমান সংকট ও আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আত্মগোপনে থাকা সভাপতি আরিফ হেসেন ছোটনকে ফোন করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করা কায়সার ই আলম প্রধানকে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরো..