https://www.a1news24.com
১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪৭

উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে…! সবজির বাজারে তেলেসমাতি কারবার!

অনিরুদ্ধ রেজা:
বন্যার কারনে নদীগর্ভে ফসল যাচ্ছে ভেসে।
তাই বাজারে কাচামালের তীব্র সংকট!
আর সেটাকে গরিবের সব্জী বিলাস বলে নাটক মঞ্চাগমণের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পরাজিত শক্তির প্রতিবন্ধী ভক্তরা!

এ পরিস্থিতিকে নিরসনে বন্যার কবল হতে দেশকে স্থায়ীভাবে রক্ষার উদ্যোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হোক। চাল, গম, আদা, রসুন, তেল, পিয়াজ আমদানি যোগ্য হলেও রবিশস্য আমাদানি অসম্ভব প্রায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় রবিশস্যের নয়ন জুড়ানো ফসলী ভূমি বারংবার দফায় দফায় বন্যা এসে ধ্বংস করে দিয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের ফলে একদিকে নদীর গতি পথ যত্রতত্র ভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে আর অন্যদিকে নানা বিধ অবকাঠামো নদী গর্ভে বিলীন সহ নদী তীরবর্তী জেলা ও উপজেলা সমুহের মানচিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গোটা দেশে বিশেষত নিম্নাঞ্চল গুলোতে পানির তোড়ে গবাদী পশু সহ রবিশস্য সমুহ ভেসে যাওয়ায় বাজারে আমদানির চেয়ে ক্রেতাদের সংখ্যা অধিক থাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাচা সব্জীর দাম। বর্তমানে বাজারে মাছ ও মাংসের চেয়ে সব্জীর দাম বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষ যে সব্জীর উপর নির্ভরশীল ছিল তা যেন তাদের ভোগবিলাসী সামগ্রীর মতো অপ্রতুল ও সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।

রবিশস্যের এই সংকট কাটাতে একদিকে যেমন স্থায়ীভাবে বন্যা প্রতিহত করতে হবে ঠিক অন্যদিকে তেমনি অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমিতে রবিশস্য উৎপাদনের উদ্যোগকে অতিদ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাতে দেশের সামগ্রিক ভাবে উৎপাদিত সব ধরনের কৃষি জাত পন্য বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক ভারসাম্য সৃষ্টি হবে।

সম্প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দায় চাপাতে পরাজিত অপশক্তি ব্যপক অপপ্রচার চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের প্রতিটি দপ্তর ধ্বংসের পাশাপাশি বিশেষত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে যেভাবে নৈতিক অবক্ষয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছিল তার দায়ভারও চাপাতে পরাজিত চক্র যথেচ্ছ ভাবে নিজের পাপের ভার বর্তমান সরকারের ঘাড়ে চাপাতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে দেশের সামগ্রিক জনগণের পরিপূর্ণ সচেতনতা এই পরিস্থিতিকে অনেক টায় প্রশমিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে পারি।

আরো..