ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ন মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বলেছেন, কুরআন নাযিলের মাসে সন্তানদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কুরআনশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। একমাত্র কুরআনের শিক্ষাই পারে আমাদের প্রজন্মকে মাদক, গ্যাংস্টার সহ চরিত্র বিধ্বংসী সকল কর্মকান্ড থেকে রক্ষা করতে। তাই শিক্ষার সর্বস্তরে কুরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ একটি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কুরআন নাজিলের মাস; আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুফতী আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা ড. মাসুম রব্বানী, জাকারিয়া আহমদ, মহসিন ভূঁইয়া, আনিসুর রহমান, জানে আলম সোহেল, বেলাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুরআন তেলাওয়াতের মজলিসে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে নেককারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ঘটনা মাহে রমজানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করেছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিশেষ অধিকার বক্তৃতায় অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান বলেন, দেশের শিক্ষক সমাজ নানাভাবে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। শিক্ষক ফোরাম শিক্ষকদের দাবি আদায়ের সোচ্চার। তিনি ঈদুল ফিতরের পূর্বেরই বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, সরকার মাহে রমজানের শিক্ষাকে ম্লান করে দিয়েছে ইফতার ও কুরআনের ক্লাসে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। তিনি বলেন, সরকারের কর্মকান্ড ইসলামবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সরকার ভারতের প্রেসক্রিপশনে দেশ চালাতে চাইলে এবং দেশে সেক্যুলার আইন কায়েম করতে চাইলে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে।