তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক: বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ককে উদ্ধত বিলিয়নিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। একই সঙ্গে ইলন মাস্ক নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন বলেও অভিযোগ করেন অ্যান্টনি আলবানিজ। খবর আল জাজিরা।
মাস্কের মালিকানাধীন এক্স থেকে সিডনির গির্জায় ছুরিকাঘাতের ঘটনার ছবি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশকে কেন্দ্র করে এ বাগ্যুদ্ধ চলছে।
দুই বছর আগে টুইটারের মালিকানা কিনে নেন ইলন মাস্ক। তখন এ মাধ্যমটির নাম পাল্টে এক্স করা হয়। সম্প্রতি সিডনির একটি গির্জায় ছুরিকাঘাতে আহত হন বিশপ মারি ইমানুয়েল। পরে ওই হামলার ঘটনার কিছু ভিডিও এক্সে ছড়িয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের দাবি, এসব ভিডিও বহু সংস্কৃতির জায়গা হিসেবে পরিচিত সিডনির বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২২ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ার একজন বিচারপতির দেয়া রুলে বলা হয়, আগামী দুই দিনের মধ্যে এক্স কর্তৃপক্ষের উচিত সিডনির ছুরিকাঘাতের ঘটনার ভিডিও তাদের প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেয়া। বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে সিডনির ছুরিকাঘাতের ঘটনাটির ভিডিও দেখতে না পায়, তা নিশ্চিত করা। দেশটির ইন্টারনেট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠীর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এমন রায় দেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, তার সরকার মাস্কের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত আছে। মাস্ককে উদ্ধত ধনকুবের হিসেবে উল্লেখ করে আলবানিজ আরও বলেন, ‘তিনি (মাস্ক) নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করেন। সাধারণ শিষ্টাচারটুকুও তিনি মেনে চলেন না।’
এদিকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইলন মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ক্যানবেরার আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে লড়বেন। এক্সে দেয়া এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘আমাদের উদ্বেগের বিষয় হলো, অস্ট্রেলিয়ার ই–সেফটি কমিশনারের দাবি অনুযায়ী যদি কোনো দেশকে সব দেশের জন্য কনটেন্ট সেন্সর করার অনুমতি দেয়া হয়, তবে গোটা ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ থেকে কোনো দেশকে কীভাবে থামানো যাবে।’
এর আগে, মাস্ক একটি মিম পোস্ট করেন। সেখানে এক্সকে মুক্ত মতচর্চার জায়গা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সেন্সরশিপ এবং প্রোপাগান্ডার সমর্থক বলা হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে মাস্ক লিখেছেন: ‘এর জন্য আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, কেবল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন।’