বিনোদন ডেস্ক: আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের প্যানেল গুছানো এবং প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে বিএফডিসি থেকে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল নিজেদের প্যানেলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত রোববার (৩১ মার্চ) বিএফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দুই খল-তারকা। সেখানে প্রথমেই টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা প্রসঙ্গে কথা বলেন খল-অভিনেতা ডিপজল।
এর আগে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছিলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অর্থ লেনদেন হয়। আর গত মার্চের শুরুতে অনেকটা দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে বিদায় নেন তিনি।
রোববার এই পুরনো বিষয়ের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন ডিপজল। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা উচিত। এই কাজ যারাই করছে না কনে, তাদের এটা বন্ধ করা উচিত। আমাদের মানুষ হয়তো অস্বচ্ছল থাকতে পারে, কিন্তু এভাবে টাকা চাইতে পারে না। যারা কিছু টাকায় বিক্রি হন, তারাই বা কয়দিন খাবেন এই টাকা? এরপর কী করবেন তারা?
এ অভিনেতা বলেন, আমার কথা হচ্ছে টাকার দিকে না তাকিয়ে সমিতির ভালো হবে কী করলে, সেটি দেখেন। আপনারা দেখেন আমার কথা ও কাজে মিল আছে কিনা। অবশ্যই মিল আছে। নির্বাচন হবে, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। তবে এবার ভালো করার জন্য আসছি, নেয়ার জন্য আসিনি আমরা। জীবনভর দিয়ে এসেছি এখানে, এবারও যা কিছু লাগে দেব, তবুও ভালো কিছু আশা করে।
এদিকে সিনেপাড়ায় নির্বাচন না হওয়া বা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে―এমন গুঞ্জন রয়েছে। এ ব্যাপারে ডিপিজল বলেন, কোর্ট থেকে যদি বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে সেখানে আমি বলার মতো কেউ না। কিন্তু কেন বন্ধ করবে তারা? মামলা হবে, মামলা হলে তারা (বিপরীত পরিষদ) এসে চেয়ারে বসবে? এত সহজ না।
এরপরই চিত্রনায়িকা নিপুণকে ইঙ্গিত করে ডিপজল বলেন, বসছে তো দুই বছর ফাও, মামলা চলমান থাকার পরও উনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসছে, এটা অবৈধ। কীভাবে বসে? তিনি কি নির্বাচিত? ওই মামলা তো এখনো চলমান। তার যদি লজ্জা থাকতো তাহলে এটা করত না। মেয়েটা যাই বলেছে আমরা উল্টা পেয়েছি, ভালো কিছু পাইনি আমি, আশাও করি না। তবে দোয়া করি সে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।
প্রসঙ্গত, আসন্ন এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন খোরশেদ আলম খসরু, সদস্য এ জে রানা ও আরেক সদস্য বি এইচ নিশান।
এ নির্বাচনে মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয় গত ৩০ মার্চ, যা চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। মনোনয়ন দাখিলা করা যাবে ২ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি মনোনয়নের মূল্য ১০০০ টাকা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ২০ হাজার, সম্পাদকীয় পদের জন্য ১৫ হাজার, কার্যনির্বাহী পদের জন্য সাত হাজার এবং আপিল ফি প্রতিটির জন্য সমপরিমাণ টাকা প্রযোজ্য।